নবাব উদ্দিন ; একজন সত্যিকার কম্যুনিটি চ্যাম্পিয়ন
ইউ কে বাঙ্গালী সমাজের সাংবাদিকতা, নিউজ পেপার এবং সর্বোপরি সামগ্রিক ক্যমুনিটির মাঝে যে অল্প কয়জন সুধীজন কে চিনি তাঁদের মধ্যে নবাব উদ্দিন একজন অন্যতম। আমাদের এই পরিচয় প্রায় দু দশকেরও উপড়ে । অতীব একজন সুশৃঙ্খল ও মার্জিত স্বভাবের ব্যাক্তিতের অধিকারী উনি। তাঁর হাসিটা অত্যন্ত সংক্রামক । দেখা হলেই সব কটা দন্ত বিকশিত হাসিটা মন কেড়ে নেয় । তাঁর করমর্দন , জড়িয়ে ধরা ও শ্রদ্ধা আর বাঙ্গালী স্বভাবগত অথিতেওতা এবং আপ্যায়ন ভুলে যাওয়া বেশ কষ্টকর । অতি অল্প সময়েই সে আপন করে নিতে জানে আগন্তকেও - ওটাই তাঁর বিরলতা এবং সেটাই মনে হয় তাঁর স্বভাবের উৎকৃষটতা ।
আমার সাথে তাঁর পরিচয় টেলিফোনের মাধ্যমে এক প্রকার ইনভেস্টিগেটিভ এস্যাইন্মেন্ট জাতীয় কথোপকথনে ; সেই ১৯৯৯ সালের ক্রিকেট বিশ্ব কাপে আমাদের বাংলাদেশ জাতীয় দলের প্রথম যোগদান এর মহাক্ষনে । তারপর থেকে টেমস নদি দিয়ে অনেক জল গড়িয়ে গ্যাছে ইংলিশ চ্যানেলে ; বাংলাদেশি বাঙ্গালী ক্যমুনিটি এগিয়ে গেছে অনেক মাইলফলক পেড়িয়ে এক নতুন দিগন্তে - আর এই দিগন্ত বিস্তৃত মাইলফলক গুলো অতিক্রম এর প্রত্যেক টি মাইল পোস্টের সাথে নীরবে, নিভৃতে, কখনে নিঃশব্দে এবং কখনো সরবে কিংবা উচ্চশ্বরে সম্পৃক্ত থেকেছেন আমার অতি পরিচিত জনাব নবাব উদ্দিন । এক অবিচ্ছেদ্য সে সম্পৃক্ততা ; আমাদের এই প্রবাস এর সামাজিক জীবনের প্রত্যেক টি কর্মকাণ্ডের এক ''ছোটে নবাবজাদা’' জনাব নবাব - যেমন তাঁর নাম ঠিক তেমনি রাশভারী তার চালচলন, তার আভিজাত্য এবং তাঁর উপত্তিধ্বনি ।
এক ধারে সাংবাদিকতা, সাইথ ব্যাঙ্ক বিশ্ব বিদ্যালয়ের গ্রাডুএসন এবং সোশ্যাল হাউজিং কোম্পানির পরিচালক এবং পারিবারিক জীবন চালিয়ে যাওয়ার ক্ষমতা সকলের থাকে না - কিন্তু, আমাদের নবাব ভাই সেখানেও সফল । আমি প্রায়ই ভাবতাম কি ভাবে সম্ভব ? আজ যখন তাকিয়ে দেখি সেই ফেলা আসা দিন গুলো তখন বেশ আশ্চর্য হই - । অর্ধ শতাব্দী পুরনো জনমত কে নেতৃত্ব দিয়ে সেই ১৯৯৭ সাল থেকে এই অব্দি নিয়ে আসা চাট্টি খানেক কথা না - এবং সকল নিন্দুকের মুখে চুনকালি মেখে আপন মহিমায় জনমত কে এখনও ছাপাখানায় ছাপা হওয়া ট্যব্লয়েড হিসেবে চালু রাখা কেবল সম্ভব যেখানে নবাব উদ্দিনের মত সুদক্ষ কেই নেতৃত্ব দেয় ।
নবাব ভাইয়ের নেতৃত্বের আরেক উৎকর্ষতার প্রমাণ হচ্ছে তাঁর অব্বিছেদ্দ টীম প্রণয়ন করার ক্ষমতা - নাহাস পাশা, আমিরুল এবং অন্যান্য সকলকে নিয়ে সে সৃষ্টি করছে এক টীম সৃষ্টির প্রকৃষ্ট উধাহরন । তাঁদের এই টীম আমাদের ক্যমুনিটির অনেকেরই ঈর্ষার কারণ মনে হয় অনেক সময় । প্রায় দুই যুগেরও অধিক সময় যাবৎ বীরদর্পে এগিয়ে যাচ্ছে ওনাদের জনমত এর নির্বাহী পরিচালনা পরিষদ । এটাও তার ই একনিষ্ঠতার উদ্যোগ এবং অন্যান্য সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টা ।
তাঁর সম্পাদিত বইয়ের পাতা গুলো একাকী আমার স্টাডি রুমে বসে বসে উলটাই আর ভাবি কেমনে সে সম্পাদন করে এত সব ? অধীর অপেক্ষায় আছি নতুন বইয়ের । সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার অধুনা যাপিত ভ্রমণ কাহিনীগুলো এক শ্বাসে পড়ে ফেলি গোগ্রাসে - অত্যন্ত সাবলীল তার উপস্থাপনা সমৃদ্ধ ভ্রমনের গল্প ।
তাঁর পরিচিতি ইংল্যান্ড, স্কটল্যান্ড, ওয়েলস থেকে শুরু করে উত্তর আইয়ারলান্ড ছাড়িয়ে সমগ্র ইউরোপ বিস্তৃত - বাঙ্গালী ক্যমুনিটির সকল কর্মকাণ্ডে তাঁর উপস্থিতি এবং আমাদের সকলের কাছে অত্যন্ত সমাদৃত একজন ক্যমুনিটি চ্যাম্পিয়ন জনাব নবাব উদ্দিন।
আমি তাঁর অগ্রজতুল্য বন্ধু হতে পেড়ে নিজেকে ধন্য মনে করি সর্বদা ।
অনেক অনেক শুভ কামনা করি এবং প্রার্থনা করি সে যেন তাঁর এই হিমালয় চূড়া সম ক্যমুনিটী স্পিরিট জাগরূক রাখে আজীবন।
ধন্যবাদান্তে ।
ইমরান এ চৌধুরী
লেফটনেন্ট ( অব)- লেখক, ইতিহাসবিদ
এন জি ও’র প্রবর্তক ও প্রধান নির্বাহী
Comments
Post a Comment