out of bound

উত্তর বঙ্গে কন কনে ঠান্ডা - জানুয়ারির ক্ষেতলাল এর জমিনে শিশিরের সাথে ঘাস গুলো লুকোচরি খেলছে সেই কুয়াশা স্নাত সকালে। ......প্রহরীর নিরব উপস্স্থিতে ঘুম ভেঙ্গে জেগে উঠল....



শীতের আমেজে এক অনাবিল প্রশান্তি, সুরজো তা মেঘের আড়াল থেকে উকি দিয়ে আবার কেমন যেন লজ্জায় লুকিয়ে যায় নব বধুর মত শরমিন্দা হয়ে......



অসংলগ্ন ভাবনা, রাজধানীতে ফেলা আসা সেই সুশ্র মুখের প্রতিমা টাকে মন থেকে কোনো ভাবেই সরাতে পারছে না। ধানমন্ডি চার নম্বর রোডের টক অব টি টাউন রেস্তরাতে চায়ের কাপে চুমুক রত সেই কমলা লেবুর মত প্রস্ফুফিত লাল লিপ স্টিক দেওয়া ঠোট গুলো বার বার বসে উঠছে মনের বারান্দায়।

কি জীবন থেকে আর কি জীবন দুই দিনের ব্যবধানে - হার কাপানো শীত, অর্ধভেজা ১৯৪৫ সালের সেকেন্ড ওয়ার্ল্ড ওয়ার এ ব্যবহৃত কাপড়ের তাবু - আর কোথায় নিওন বাতির আলোতে প্রজ্জলিত রাতের সেই হাত হাতে হাত ধরে অপরের সানিধ্যে হারিয়ে যাওয়া। ......কোলাহলে স্পর্শের নিরবতা। (বন্ধুর ভয় কি জানি ও না দেখে ফেলে তার একমাত্র বোনের সাথে।....) কি বিচিত্র যে জীবন।

জরুরি তলব - রাত একটা বাজে শুরু গল্পের কাগুজে যুদ্ধ। .................শুরু হবে বড় লম্বা লম্বা কঠিন সকল ইংরাজী শব্দের মিনাবাজার।

কে কত কঠিন শব্দ ব্যবহার করতে যেন তারই প্রতিযোগিতা - জীবন কেমন যেন ছকে বাধা এক বিরাট কানভাস - খালি, এলোমেলো রঙ্গে সাজানো এক তা অসম্পূর্ণ একটা পেন্টিং।..........

গরিব, অশিক্ষিত, গোবেচারা জাতীয় রিক্সাচালক, বাস ড্রাইভার অথবা কোনো অথবা দেখলেই কলোনিয়াল একসেন্টে ইংরেজি ভাষায় কত বলা - কেমন যেন বেমানান - অসংলগ্ন, প্রগলভতা - বাতুলতা - পমপাস বিচিত্র এক জীবন . পানের দোকানে দড়ি মাথায় প্রজ্জলিত আগুনে সিগারেট ধরাতে ধরাতে ইংরেজিতে কথোপকথন - হাস্যপদ বৈ আর কি।

বিষন্নতায় স্বপ্ন - উদ্দীয়প্নায় দেশ গড়ার অভিপ্রায় - ছেলে খেলা সম অবাঞ্চনীয় শপথ। নিগৃহতায় এক কেমন উন্নাসিক শ্রেণী বৈষম্য - তবুও চোখ ভরা স্বপ্ন বিশাল যমুনা নদীর অববাহিকার মত ব্যাপক।

কাক ডাকা ভোর অবধি কাচ্চু খেলা সুরঙ্গ কাটা দহলিজে। এ যেন এক ভিন্ন উনুভুতি - সুরঙ্গ বসে আরামে হার কাপানো শীতে চা খাওয়া - এক বিশাল সৃতি

মাসুদ রানা বইতে পরা লুকাস বব্রাডি র মত এদ্ভেন্চারাস জীবন যাপন - ঢাল নাই তলোয়ার নাই নিধিরাম সর্দার

ডাক্তার দেখানোর নাম শহরে।...এক লাজুক মহিলার হাতের ছোট মাছের চর্চরি, কাছে দেকে নিয়ে পাশে বসিয়ে অ্যালবাম দেখা। ...............অমর এক নিষিদ্ধ যোগযোগের উন্মোচন। ...............

জীবন বদলানোর নাটকের প্রথম অধ্যায়। ..............ব্রাকেটে পধাঘাথ - প্রম্পটারের প্রম্প্তিং ভুলে

নিজশ্হ এক গতিতে জীবন নাটক রচনা করা - এক টা ছোট খাট বিপ্লব



অনেক পলি জমেছে ঘাগট নদীটির তীরে , হিলি থেকে হিমাচল পর্যন্ত বিস্তৃত শীতের সেই মহা ঠান্ডা কে নির্ধিধায় বিন্ধুমাত্র ভয় না পেয়ে এম্বুস, রেইড, পেট্রল করে সময় গুলো কেমনে যে অতিক্রান্ত হয়ে গেল।


প্রতাবর্তন সভ্যতায় - চুনা গেরু আর - ঘাস কাটা - বড় বড় মটিভেসন এর ক্লাস থেকে জাতীয় সংহতি, নির্বাচন থেকে শুরু করে ভোট চুরি, সীল মারা ব্যালট পেপারে , ঝর তুফানে নেই কোন সময় নিজেকে নিয়ে ভাববার - যেন এক প্রলয়, চব্বিশ ঘন্টার জন্য শ্রম দেওয়া বিংশ শতাব্দীর এক হাবশী গোলাম।

কাটা চামুচে ইলিশ মাছ আর ডালের ঝোলে একাকার - আর মাঝে হাসি গান মাঝে মাঝে কেরু কোম্পানির কাঁচের বোতলের আবার কখনো জনি ওয়াকার এর লাল লেবেল এ দু পেগ পান করে নিজেকে বাংলার শেষ নবাব বা ডায়মন্ড অন হার নেকেড ফ্লেশের হিরো আর মত আচরণ - আনন্দ, ফুর্তি, ভয়,কারিয়ার - এসিআর একাকার। বিচিত্র এক জীবন - ঢাকা পদাতিকের এক মঞ্চ নাটকের এক একজন খল নায়ক - বেইলি রোডের থিয়েটার পাড়ার এক সম্ভাবনাময় উঠতি অভিনেতা- প্রচুর সম্ভাবনা তার অপ্পেখায় বসে আছে পথ চেয়ে ফাগুনের গান গেয়ে।

এই জীবনের পাতায় পাতায় যা লেখা। ...ভুল সবি ভুল। .........শুনতে শুনতে সময় নামক দানব তাকে ঘড়ির কাটার সাথে বেধে রাখার অপপ্রায়াস।

অর্থনীতিটা সকল সময় মন্দা - জীবন নাটকের যুবক সে উচ্চাভিলাষী, উন্মুক্ত- অবারিত ঔন্মেচিত দরজা - হাজারী দরজা প্রাসাদের মত - মুর্শিদাবাদের নবাবের সেই প্রাচীন প্রাসাদের মত অবারিত হাজার দরজা আলিঙ্গন দিতে হাত বাড়িয়ে দিয়ে অপ্পেখায়। ....................

আফসানা পেআর কি.................অনুপ জালোটার গুরু গম্ভীর গজালের সুরে বৈকালীন চা পান আর দৌড়ে যোগদান প্লটনে।

নজরুলের বাঙালি পল্টনের কবিতায় উনুপ্রানিত হয়ে যোগদান পল্টনে।....এই এক ভিন্ন জগত - সম্পূর্ণ ভিন্ন - সহমর্মিতা, উনুভুতিতে সজাগ, স্নেহ আর ভিন্ন ধরনের হাম্দর্দি - মনে করিয়ে দিত বি , বাড়িয়া টি এ রোডের সেই বিশাল সাইন বোর্ড ''হামদর্দ দাওয়াখানা '' টার কথা।

দামামা আর বাজে না , বাজে কানে দায়িত্ব নামক এক বোঝা - মনে মনে সে বলে ''কামাল তু নে কামাল কিয়া ভাই, হো হো হো কামাল তু নে কামাল কিয়া ভাই''

মহা প্রলয়ের আমি। ..................এক ভিম ভাসমান টর্পেডো মাইন। ........................


******


শাহীন ; তামজিদ শাহীন ৭০- ৭২ ইঞ্চি প্রায় লম্বা - চিসেল্ড ফেস , প্রতুত্পন্নমতিতায় উত্কৃষ্ট ২৫ বছরের ফুল অফ লাইফ এক বক্তিত্ব , সদা হাস্সজল , জীবন সম্পর্কে উদাসীন, পড়ুয়া - আড্ডাবাজ। জন হৈতশি সদা প্রস্তুত এক যুবক। এস্পীয়নাজ, সিক্রেট সার্ভিস, গোয়েন্দাগিরি - কোসা নোস্ত্রা এশিয়া বইয়ের এক নিবির পাঠক। বিচিত্রতায় পরিপূর্ণ এক সমাহার - সকলেই যেন কেমন সন্ধেহপ্রবনতায় সন্দেহ বিলাসী।

জীবন যেন একটা কৌতুক, হাসি, গল্প ও আড্ডা। প্রমোদে ঢালিয়া দিনু মন। ...............

ইতিহাস - যোগ্রাফি - সন কাল - তারিখ - বন্ধুরা ভাবতো সবই মনগড়া। 

বেশ বৌরী শৈশব কাল - অনিশ্চিত দিন, রাত,কাল - স্বাধীনতা যুদ্ধ ; শরণার্থী শিবিরের দিনগুলো, মুক্তিযুদ্ধেযোগদান করার জন্য প্রস্তুত সে ১১ বছর বয়েস থেকেই - হঠাথ স্বাধীন।..মুক্ত মাতৃভূমি, ''জননী জন্মভূমি স্বর্গাদপি গরীয়সী''।

বেবাগী কাল অতিক্রম, অনিশ্চয়তা, রাত ; আধারের মাঝে যুদ্ধ দামামা, কর্ণদয় আওয়াজের প্রচন্ডতায় নেশাগ্রস্থ প্রায় হঠাথ নিস্তব্দতা মানসিক প্রশান্তিতে বিঘ্ন; তারপর ও জীবন কে আবার রেল লাইনের মত সমান্তরালে ফিরেয়ে আনা - বিদ্রোহী মন কে খাচায় - খোওয়ারয়ে বন্দিত্ব দেওয়া কি সহজ।

জীবনের সাময়িক ছন্দ পতন - প্রতিবাদ করার ইচ্ছা - প্রাপ্তি প্রতিবাদে, কৈশোরে বিভিন্ন সার্থন্নেশী মহলের বাম আর ডান পন্থীতে দিক্ষায়িত করিবার প্রয়াস - অপপ্রয়াস - করে দিয়েছিল অনেক সজাগ - বুর্জুয়া, পেটি বর্জুয়া আর প্রলেটারিয়াত সহ ক্লার্জি দের শ্রেণী আর পুজির বিকাশ - অবকাশের অহেতুক ভাবনা। রাজনীতিতে বলির পাঠা বানানোর পূর্বসুরীদের অপক্ক অপপ্রায়স। নিজের স্বার্থ চরিথার্ত করার সোপান কিশোর।


ভাবিয়ে তুলল অনেক দুরভাবনা - অসময়পজিগী , জীবন নাটকের দ্বিতীয় অধ্যায় এর প্রথম পর্ব কেমন যেন তট্রাফিক জ্যাম এ অলস স্লথ কচ্ছপের গতিতে অগ্রসর। 

বিজ্ঞান ছাড়া জীবনে আর কোনো নৌকা চালানো সম্ভব নয়, বাকি সব কেরানি হবার বিষয়। বিজ্ঞান ছাড়া বালক তুমি অজ্ঞান। কি নিছক বোকামি। বিজ্ঞান, একটা চাকরি, দুই থেকে তিন তা ধাপ বাড়িয়ে বলে নিজেকে পরিচয় দেওয়া - একটা বাড়ি, এক জোড়া ছেলেমেয়ে, অতপর চল্লিশ হওয়ার সাথে সাথে এক পা কবরে আর এক পা বাইরে নিয়ে আর ইবাদথ বন্দেগী করে জীবন চালিয়ে যাওয়া - একদিন পটল তোলা ; ইহাই জীবনের প্রচলিত এস্পারেষণ। 

গোবেচরা - - শালীন - নিশ্চল নিশ্চুপ আপনার মাঝে আপনি পুরিবো গন্ধ বিধুর ধুপ.....সমাজের এক টা অবকাঠামোর একজন নাগরিক, আলেকজান্ডার পোপের '' হ্যাপী দি ম্যান '' হয়ে অন্তর্ধান করাটাই যেন শ্রেয়।

তামজিদ ; ভেবেছিনু মন শ্রী বৃন্দবন বারেক আসিবো ফিরে।............

প্রতয়ী, কঠোর মনোভাবাপন্ন রা অনেক দূর যায়। ...বাকিরা থাকে দিয়ে সাইড লাইন য়ে

৭ই অগাস্ট (সাল টা গোপনীয়তার জন্য বলা যাবে না) সাল বৃষ্টিস্নাত এক বিকেলে আগমন তামজিদ শাহিনের জীবনে এক নতুন অধ্যায়। 

ঢাকা পদাতিকের - নব্য উপহার - এক নতুন মঞ্চ নাটকের মঞ্চায়ন।

নাটকের আসল প্রটাগনিস্ট - নাম তার শাহীন, তামজিদ শাহীন
Pen is mightier than the Gossip; It clears all the air.Pen is mightier than the Gossip; It clears all the air.

Comments