বেড বিছানা সবার জায়গা দেখিয়ে বান্টি যাবার আগে আমি বললাম... তোর্ সাথে অনেক কথা আছে : হমম কালকে সকালে সারাদিন গল্প করব ; আজ রাতে বাইরে যাবো : তুই ঘুমা | ক্লান্ত অনেক : তর চেহারা আব্বারে বডি ( চাটগা ভাষা ) গীয়ে ; আয়না দিয়ে দেখ : 

সন্ধা প্রায় আসন্ন | প্রতেক ঘর থেকে কম করে হলেও ১৫ জন বের হলো মাঠে সবাই লাইনে এ দাড়ানো - ৬০ জনের মত হবে সব মিলিয়ে ১২ - ১৩ জন মহিলা থেকে যুবতী থেকে বালিকা | রাঙামাটিতে বসে আমরা ঘুনাক্ষরেও জানতাম না যে এত বড় একটা ব্যাপক সংগঠন গড়ে উঠেছে অথচ আমরা কিছুই জানিনা : 

সবাই রাক রাক ঢাক ঢাক ভাব | তাইত বলি কেন এত বড় সেনা বাহিনীর  উপস্থিথি  | হাজার হাজার সৈন্য ফিসারী ঘাটের পন্টুন দিয়ে সী ট্রাকে উঠে কামান আর মেশিন গান তাক করে যেতে দেখি গভীর জঙ্গলের দিকে : ভাবতাম কথায় যায় এরা ? এত কি তাড়াহুড়া : কি এত যুদ্ধের দামামা ? এখন বুঝলাম কেন এত ঢাক ঢোল পিটিয়ে অগ্রযাত্রা  |

কলেজে সারাদিন আর্মির টিকটিকি -  সংকর এর বাসায় ঐ এন এস আই অফিসার এর চামচা গুলো খালি প্রশ্ন করত : ডি এফ আই ( ঐ  নামেই তখন ওরা পরিচিত ছিল ) কেপ্টেন সেলিম : জাগদল বানানো এবং কলেজ ছাত্রদের মাঝে বন্ধুত্ব করতে কেন চাইতো এত |

কিন্তু আমার দুই বছরের অভিজ্ঞতায় আমি তো কখনো কোনো খারাপ আচরণ দেখি নাই | আর্মি ছিল সর্বদা অতি নম্র : ভদ্র : সহনশীল : আমরা ফুটবল খেলতাম কলেজের পিছনে হোস্টেলের সামন যেটা ছিল আর্মি ব্যারাক : ওরা খুবই সহযোগী ভাবাপন্ন মনে হত : 
তাহলে কেন এরা এতটা বৈরী ? কেন এত নিপীড়িত মনে করে এত ? 

আমাকে বেশ ভাবান্নিত করে তুললো এই প্রশ্নন গুলো | ওদের আচরণ তা কেমন শত্রু শত্রু  : সবাই না | শহরের বাসিন্দারা কসমোপলিটান -  জাতিভেদ নির্বিশেসে সবাই আমরা ছিলাম সবার বন্ধু : প্রিয় বন্ধু | ওই বিদ্বেষ এবং ভেদাভেদ বলে কোনো কিছুই কখনো উপলব্ধি করি নাই : অন্তত আমি করি নাই - বাকিদের কথা বলতে পারব না |

ডক্টর হাসান : আমাদের মাহফুজের বাবা আমাকে একবার একটা বই দিয়েছিল ; হিস্ট্রি অফ হিল্লস অফ চিটাগাং  : একজন ইংরেজ সাহেবের্ লেখা - ঐ  বইটার কথা মনে পড়ল : শুয়ে  শুয়ে ওদের মিলন মেলা দেখছি আর ভাবছিলাম  |

Comments