গ্রাম বাংলা ; অযাচিত আতিথেয়তা মোল্লাদের ভয়
এপিসোড - ৯
গ্রাম বাংলা ; অযাচিত আতিথেয়তা মোল্লাদের ভয়
সবুজ ঘাসের মখমল মসৃন দিগন্তজুরা প্রান্তর - একটা গ্রাম থেকে ওপর গ্রামের মাঝ খানে এই বিশাল মখমলের চাদর বিছানো দিগন্ত - অপূর্ব। তার চেয়েও অপূর্ব ওই গ্রামের মানুষ গুলো ওদের মাঝে আমরা কয়জন শহুরে মানুষ কে পেয়ে ওরা যেন কেমন আত্মহারা।
এক বিশাল ফায়সালা ওদের আর আমাদের মাঝে - যা আমি ওই অল্প বয়েসেই খুব তারাতারি উপলব্ধি করলাম। সহজ এবং সরল মানুষ গুলো সকাল থেকে সন্ধা পর্যন্ত হাল চাষ- গরুদের গাস কাটা- পুকুরে মাছ ধরা - বাড়ির পাশের আঙ্গিনা থেকে শাক, সবজি কেটে নিয়ে আসা - পুকুরে একটা ছোট কুনি জাল মেরে দু একটা রুই মাছ ধরে এনে দুপুরের খাবার যোগার করে ফেলা ; সপ্তাহে একদিন পাশে গ্রামের বড় হাট থেকে বাজার করে আসার সময় - তিলের নারু, কটকটি অথবা সেই বায়েস্কোপ মেশিনে বায়েস্কোপ দেখা।
ভিন্ন এক জগৎ - রাতে সবাই মিলে পুথি পড়া - আজ ও মনে পরে গাজী কালু চম্পাবাতির পুথি ( যা জীবনেও নামও শুনি নাই আগে) - আরো কত যে শোলক আর বিভিন্ন রকমের রিডল বলে কাকারা বুদ্ধিমত্তা প্রকাশ করত। এযেন এক ভিন্ন একটা প্লানেট - ওরা ঘুন্নাক্ষরেও বিশ্বাস করে নে এপোলো ১১ - চাদে অবতরণ করেছে !
পুকুরে নামতে মানা - কারণ ওই পুকুরে একটা বড় শিন্দুক আছে যেটা নাকি অনেক মানুষ কে অবলীলায় নিয়ে চলে গেছে আজ ও কেই ঐ শিন্দুক টাকে কব্জা বা ঘায়েল করতে পারে নাই ; ওই বাসের ঝড়ের নিচ দিয়ে কেই যেও না কারণ এই বাস বাগানের ভিতর ৪ টা জিন থাকে ওরা যেকনো সময় আসে বাশঝার অতিক্রম্কারীকে অপহরণ করে নিয়ে যেয়ে মেরে ফেলতে পারে। গ্রামের শেষ মাথায় উত্তর পাড়ার মুচিদের শশান ঘাটের পাশে ওই বড় তাল গাছে দুইটা অপরুপা সুন্দুরী পরী দের আস্তানা - পাশের বাড়ির জব্বার চৌধুরীর মেয়ের জামাই আক্কাস আলীকে একবার ওই দুই পরীর এক পরী একদিন সুবেহ সাদেকের সময় শশান ঘাটের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় উঠিয়ে নিয়ে গিয়েছিল হাতে গোনা ১১ দিন পর সকাল বেলা ওকে ওই ইস্কুলের বারান্ধায় পাওয়া গেল- হুশ ফিরবার পর আক্কাস নাকি জানিয়েছিল তাকে ওই পরী খুবই আদর যত্ন করত ওকে ঢাকা, করাচি, কলকাতা ও বরিশাল নিয়ে গেছিল - অনেক ফল ফুরুট খেতে দিত এবং অনেক মিস্টি খাওয়াত। মাকে জিগ্গেস করলে বলত শুনে যাও বাবা - এগুলো এখানকার প্রচলন - ওদের মনে দুঃক্ষ দিও না অবিশ্বাস করার ভাব দেখিয়ে।
ওদের সবার মাঝে আমরা কয়জন একদম মধ্য মনি হয়ে গেলাম - কিন্ত, সহসা আতিথেয়তায় ফাটল ধরতে শুরু করলো - আমরা কারা ? কোথাকার কি আমাদের পরিচয় , কোথায় এই পরিবারের পুরুষ? কি করেন উনি? কেন এই বাচ্চাদের মা কথায় কথায় দু একটা ইংলিশ ভাষায় কথা বলে ? ওরা নিশ্চয় পাকিস্তানিদের চর; আর এক দল সন্ধিহান হেয়ে গেল - আমরা এই গ্রামে থাকলে ওই গ্রামের এবং পাশের গ্রামের মসজিদের বড় হুজুর যেয়ে পাকিস্তানি আর্মি কে বলে দিবে আমরা সন্দেহভাজন একটা ওই গ্রামের মফিজ মাস্টার সাহেবের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছি - মুক্তি যুদ্ধারা তখনও সংগঠিত হয় নাই কিন্তু তার অনেক আগেই এই সকল শয়তান দাড়িওলা মসজিদের ইমামরা তলে তলে হাত মিলিয়ে ফেলছিল সকলের অগোচরে হানাদার বর্বর পাকিস্তানি আর্মির সাথে ; সেই সময় থেকেই ওদের কে শ্রদ্ধা বা বিশ্বাস করতে বড় সংকোচ উনুভব করি মনের অজান্তে। আমদের কে আশ্রয় দানকারী বিষন্ন হয়ে গেল, ওনাকে রাতের অন্ধকারে কয়েকজন এসে বলে গেল - ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে একদিন আমাদের বল্লো ওনাদের ওখান থেকে অন্য কোথও চলে যেতে। মরার উপর খারার ঘা - কথায় যাব আমরা - দুই টা রুম সহ একটা পাকা ঘর টিনের চাল দেয়া আমাদের এই সুন্দর আবাস ছেড়ে যেতে হবে। কথায় যাব ?
স্বাধীনতা তুমি আজ আমায় কাদাও। সেই গ্রামের ফসলের জমিতে ধান কাট তে যেয়ে আঙ্গুল কেটে ফেলা, করা রোদ্রের দুপুরে খেতে মই এ চরে মই দেয়া, পাট খেত নিড়ানো আর রাতের বেলা সবার সাথে বসে বসে হিজ মাস্টার ভয়েসের সেই বুল ডগ টার মত বওই সব আড্ডা শোনা - পড়ালেখা নাই , নাই ইস্কুল, নাই কোনো আশা বা আকাংখা, নেই কোনো ঘর নাই কোনো স্বপ্ন।
জীবন থেকে জীবন কেড়ে নিয়েছে কেড়ে নিয়েছে ওরা - আজ আমরা গৃহহারা - অর্বাচীন - পথহারা পথিক - কিং কর্তব বিমুড় তায় নিমগ্ন। সাধীনতা তুমি কি চড়াদামে কেনা এক দিল্লিকা লাড্ডু !!!!
গ্রাম বাংলা ; অযাচিত আতিথেয়তা মোল্লাদের ভয়
সবুজ ঘাসের মখমল মসৃন দিগন্তজুরা প্রান্তর - একটা গ্রাম থেকে ওপর গ্রামের মাঝ খানে এই বিশাল মখমলের চাদর বিছানো দিগন্ত - অপূর্ব। তার চেয়েও অপূর্ব ওই গ্রামের মানুষ গুলো ওদের মাঝে আমরা কয়জন শহুরে মানুষ কে পেয়ে ওরা যেন কেমন আত্মহারা।
এক বিশাল ফায়সালা ওদের আর আমাদের মাঝে - যা আমি ওই অল্প বয়েসেই খুব তারাতারি উপলব্ধি করলাম। সহজ এবং সরল মানুষ গুলো সকাল থেকে সন্ধা পর্যন্ত হাল চাষ- গরুদের গাস কাটা- পুকুরে মাছ ধরা - বাড়ির পাশের আঙ্গিনা থেকে শাক, সবজি কেটে নিয়ে আসা - পুকুরে একটা ছোট কুনি জাল মেরে দু একটা রুই মাছ ধরে এনে দুপুরের খাবার যোগার করে ফেলা ; সপ্তাহে একদিন পাশে গ্রামের বড় হাট থেকে বাজার করে আসার সময় - তিলের নারু, কটকটি অথবা সেই বায়েস্কোপ মেশিনে বায়েস্কোপ দেখা।
ভিন্ন এক জগৎ - রাতে সবাই মিলে পুথি পড়া - আজ ও মনে পরে গাজী কালু চম্পাবাতির পুথি ( যা জীবনেও নামও শুনি নাই আগে) - আরো কত যে শোলক আর বিভিন্ন রকমের রিডল বলে কাকারা বুদ্ধিমত্তা প্রকাশ করত। এযেন এক ভিন্ন একটা প্লানেট - ওরা ঘুন্নাক্ষরেও বিশ্বাস করে নে এপোলো ১১ - চাদে অবতরণ করেছে !
পুকুরে নামতে মানা - কারণ ওই পুকুরে একটা বড় শিন্দুক আছে যেটা নাকি অনেক মানুষ কে অবলীলায় নিয়ে চলে গেছে আজ ও কেই ঐ শিন্দুক টাকে কব্জা বা ঘায়েল করতে পারে নাই ; ওই বাসের ঝড়ের নিচ দিয়ে কেই যেও না কারণ এই বাস বাগানের ভিতর ৪ টা জিন থাকে ওরা যেকনো সময় আসে বাশঝার অতিক্রম্কারীকে অপহরণ করে নিয়ে যেয়ে মেরে ফেলতে পারে। গ্রামের শেষ মাথায় উত্তর পাড়ার মুচিদের শশান ঘাটের পাশে ওই বড় তাল গাছে দুইটা অপরুপা সুন্দুরী পরী দের আস্তানা - পাশের বাড়ির জব্বার চৌধুরীর মেয়ের জামাই আক্কাস আলীকে একবার ওই দুই পরীর এক পরী একদিন সুবেহ সাদেকের সময় শশান ঘাটের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় উঠিয়ে নিয়ে গিয়েছিল হাতে গোনা ১১ দিন পর সকাল বেলা ওকে ওই ইস্কুলের বারান্ধায় পাওয়া গেল- হুশ ফিরবার পর আক্কাস নাকি জানিয়েছিল তাকে ওই পরী খুবই আদর যত্ন করত ওকে ঢাকা, করাচি, কলকাতা ও বরিশাল নিয়ে গেছিল - অনেক ফল ফুরুট খেতে দিত এবং অনেক মিস্টি খাওয়াত। মাকে জিগ্গেস করলে বলত শুনে যাও বাবা - এগুলো এখানকার প্রচলন - ওদের মনে দুঃক্ষ দিও না অবিশ্বাস করার ভাব দেখিয়ে।
ওদের সবার মাঝে আমরা কয়জন একদম মধ্য মনি হয়ে গেলাম - কিন্ত, সহসা আতিথেয়তায় ফাটল ধরতে শুরু করলো - আমরা কারা ? কোথাকার কি আমাদের পরিচয় , কোথায় এই পরিবারের পুরুষ? কি করেন উনি? কেন এই বাচ্চাদের মা কথায় কথায় দু একটা ইংলিশ ভাষায় কথা বলে ? ওরা নিশ্চয় পাকিস্তানিদের চর; আর এক দল সন্ধিহান হেয়ে গেল - আমরা এই গ্রামে থাকলে ওই গ্রামের এবং পাশের গ্রামের মসজিদের বড় হুজুর যেয়ে পাকিস্তানি আর্মি কে বলে দিবে আমরা সন্দেহভাজন একটা ওই গ্রামের মফিজ মাস্টার সাহেবের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছি - মুক্তি যুদ্ধারা তখনও সংগঠিত হয় নাই কিন্তু তার অনেক আগেই এই সকল শয়তান দাড়িওলা মসজিদের ইমামরা তলে তলে হাত মিলিয়ে ফেলছিল সকলের অগোচরে হানাদার বর্বর পাকিস্তানি আর্মির সাথে ; সেই সময় থেকেই ওদের কে শ্রদ্ধা বা বিশ্বাস করতে বড় সংকোচ উনুভব করি মনের অজান্তে। আমদের কে আশ্রয় দানকারী বিষন্ন হয়ে গেল, ওনাকে রাতের অন্ধকারে কয়েকজন এসে বলে গেল - ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে একদিন আমাদের বল্লো ওনাদের ওখান থেকে অন্য কোথও চলে যেতে। মরার উপর খারার ঘা - কথায় যাব আমরা - দুই টা রুম সহ একটা পাকা ঘর টিনের চাল দেয়া আমাদের এই সুন্দর আবাস ছেড়ে যেতে হবে। কথায় যাব ?
স্বাধীনতা তুমি আজ আমায় কাদাও। সেই গ্রামের ফসলের জমিতে ধান কাট তে যেয়ে আঙ্গুল কেটে ফেলা, করা রোদ্রের দুপুরে খেতে মই এ চরে মই দেয়া, পাট খেত নিড়ানো আর রাতের বেলা সবার সাথে বসে বসে হিজ মাস্টার ভয়েসের সেই বুল ডগ টার মত বওই সব আড্ডা শোনা - পড়ালেখা নাই , নাই ইস্কুল, নাই কোনো আশা বা আকাংখা, নেই কোনো ঘর নাই কোনো স্বপ্ন।
জীবন থেকে জীবন কেড়ে নিয়েছে কেড়ে নিয়েছে ওরা - আজ আমরা গৃহহারা - অর্বাচীন - পথহারা পথিক - কিং কর্তব বিমুড় তায় নিমগ্ন। সাধীনতা তুমি কি চড়াদামে কেনা এক দিল্লিকা লাড্ডু !!!!
Comments
Post a Comment